27 Nov 2024, 08:36 pm

বাংলাদেশ আইএমও’র মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু মেরিন স্কলারশিপ চালু করতে চায় : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) মাধ্যমে ছোট দ্বীপ ও আফ্রিকান স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) জন্য বঙ্গবন্ধুর নামে সামুদ্রিক খাতে বৃত্তি চালু করতে চায়।

আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আইএমও’র মহাসচিব আর্সেনিও অ্যান্তোনিও ডমিনগুয়েজ তাঁর সঙ্গে সৌজন্য করতে এলে তিনি বলেন, ‘আমরা আইএমও-এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নামে ১০টি ক্যাডেট প্রশিক্ষণ বৃত্তি চালু করতে চাই।’
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম বলেন, আইএমও মহাসচিব প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছেন।
বৃত্তি প্রাপ্তদের বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
আইএমও মহাসচিব নারী মেরিনার বাড়ানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার প্রথম নারী মেরিনারদের নিয়োগ দিয়েছে এবং তাদেরকে নাবিক হতে অনুপ্রাণিত করেছে।
তিনি এক মাসের মধ্যে ছিনতাইকৃত বাংলাদেশী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ক্রুদের মুক্ত করতে প্রচেষ্টা চালানোর জন্য আইএমও’র প্রশংসা করেন।
শেখ হাসিনা সামুদ্রিক পথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইএমওকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের অর্থনীতির জন্য সমুদ্র পথ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরের পার্শ্ববর্তী দেশগুলো একসঙ্গে সমুদ্র পথের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করছে।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘সমুদ্র পথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্যান্য জায়গায় একই ধরনের উদ্যোগ নিন।’

 

বৈঠকে, জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যাগুলোর পাশাপাশি জাহাজ নির্মাণ এবং এর রিসাইক্লিং শিল্প নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার জাহাজ নির্মাণ এবং এর রিসাইক্লিং শিল্পে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়িয়েছে।
‘আমরা জাহাজ নির্মাণ এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য শিল্পে নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করেছি এবং এটি উল্লেখযোগ্য,’ তিনি বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাত জাহাজ নির্মাণে নিয়োজিত থাকায় বাংলাদেশ ইউরোপের দেশগুলোতে জাহাজ রপ্তানি করছে।
আইএমও মহাসচিব বলেন, সবাইকে হংকং কনভেনশনে নির্ধারিত মানদ- অনুসরণ করতে হবে।
বাংলাদেশ গত জুনে হংকং কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কনভেনশনে নির্ধারিত মানদ- অনুসরণ করতে হবে, অন্যথায় ইউরোপ কোনো দেশের কাছে তাদের পুরনো জাহাজ বিক্রি করবে না।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হংকং কনভেনশন অনুসরণ করে পরিবেশ রক্ষার জন্য জাহাজ নির্মাণ এবং পুনর্ব্যবহারে তাঁর প্রচেষ্টা বাড়ানোর জন্য আইএমওর কাছে সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান।
জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশকে বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও খরার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় রেমালের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘস্থায়ী ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে বাংলাদেশের সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে।
প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ এম. জিয়াউদ্দিন এবং মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Visits Today: 13347
  • Total Visits: 1333833
  • Total Visitors: 4
  • Total Countries: 1668

আজকের বাংলা তারিখ

  • আজ বুধবার, ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
  • ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)
  • ২৫শে জমাদিউল-আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরী
  • এখন সময়, রাত ৮:৩৬

Archives

MonTueWedThuFriSatSun
    123
252627282930 
       
15161718192021
293031    
       
  12345
2728     
       
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
31      
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930   
       

https://youtu.be/dhqhRb9y018